প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকির পর থেকে লাপাত্তা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ। বিভিন্ন সময় নানা ধরনের বিতর্কিত বক্তব্য দিয়ে আলোচনা-সমালোচনায় থাকা প্রায় অর্ধশতাধিক মামলার আসামি চাঁদকে গ্রেফতারে হন্যে হয়ে খুঁজছে পুলিশ।
গত ছয় দিন ধরে তার কোনো নাগাল পাচ্ছে না আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা।
এদিকে চাঁদের এমন কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যে চরম বিব্রতকর অবস্থায় স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতারা। ফলে চাঁদ দলীয়ভাবে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থার মুখেও পড়তে পারেন বলে জানান বিএনপির একাধিক নেতৃবৃন্দ।
জানা যায়, গত ১৯ মে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার শিবপুরে কেন্দ্রীয় কর্মসূচি পালনের সময় সভাপতির বক্তেব্য জেলা বিএনপির সভাপতি আবু সাঈদ চাঁদ প্রধানমন্ত্রীকে কবরস্থানে পাঠাতে হবে বলে উদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য দেন। এর পর চাঁদের সেই বেফাঁস বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে ফুসে উঠে গোটা দেশে আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী-সমর্থকরা।
পুঠিয়া ও নাটোর সদর থানাসহ দেশের বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাস দমনসহ বিভিন্ন অপরাধে একের পর এক হতে থাকে মামলা। ওই সব মামলায় চাঁদকে গ্রেফতারে মাঠপর্যায়ে ব্যাপক তৎপরতা শুরু করেছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা। তবে গত ছয় দিন ধরে লোকচক্ষুর আড়ালে রয়েছেন চাঁদসহ তার একান্ত সহকারী চারঘাট উপজেলা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক জালাল উদ্দিন। ফলে চাঁদের বাড়িসহ সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থানে একাধিকবার সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করেও তার নাগাল পাচ্ছেন না আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা।
এদিকে চাঁদের এমন বেফাঁস বক্তব্যে ইতোমধ্যে দুঃখ প্রকাশ করে বক্তব্য দিয়েছেন দলটির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এবং রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু।
বিষয়টি সম্পর্কে চারঘাট মডেল থানার ওসি মাহবুবুল আলম বলেন, ঘটনার পর থেকে তাকে গ্রেফতারে তৎপর রয়েছে পুলিশ। বিভিন্ন ইউনিটে কাজ চলমান রয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে তাকে গ্রেফতার সম্ভব হবে।