নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রতীক পাওয়ার আগেই ডিজিটাল মাধ্যমে প্রচারে নেমেছেন দু’জন কাউন্সিলরপ্রার্থী। তাঁরা হলেন, ১১ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর রবিউল ইসলাম তজু ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর রেজা উন নবী আলমামুন। দুজনেই এবার রাসিক নির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে প্রচারণা চালাচ্ছেন ডিস লাইনের মাধ্যমে নিজস্ব সিডি চ্যানেলে।
গত কয়েকদিন ধরেই এই দুই প্রার্থী তাঁদের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে ডিস লাইনে রঙ্গিন বিজ্ঞাপনে দিয়ে যাচ্ছেন। যদিও নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী সব ধরনের ভোটের প্রচারণা এখন অবৈধ। প্রতীক বরাদ্দের আগে কোনো প্রার্থীই ভোটের প্রচারণা চালাতে পারবেন না। কিন্তু সেই আইন লঙ্ঘন করে প্রচারণা চালাচ্ছেন ওই দুই কাউন্সিলর। এ নিয়ে এলাকাবাসাীর মাঝেও দেখা দিয়েছে চরম ক্ষোভ।
তাঁদের মধ্যে আল মামুন নিজেই ডিস লাইনের ব্যবসায়ী। সেই সুবাদে তিনি প্রায় এক মাস ধরে ডিস লাইনের মাধ্যমে নিজের ভোটের প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
গতকাল শনিবারও রাজশাহীর বিভিন্ন ডিস লাইনে নগরীর ১১ ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন দুই কাউন্সিলর প্রার্থী রবিউল ইসলাম তজু ও আলমামুন। তাদের মধ্যে রবিউল ইসলাম তজু মহানগর বিএনপির সাবেক সহসভাপতি এবং আল মামুন আওয়ামী লীগকর্মী বলে এলাকায় পরিচিত।
রবিউল ইসলাম তজুর প্রচারিত বিজ্ঞাপনে দেখা যায়, আগামী ২১ জুন রাসিক নির্বাচনে তাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে এলাকাবাসীর সেবা করার সুযোগ দানের আহ্বান জানিয়েছেন। এছাড়াও তিনি লিখিছেন, রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ১১ নম্বর ওয়ার্ডবাসীর অতন্ত্র প্রহরী, যিনি দিন-রাত ওয়ার্ডবাসীর সেবায় নিয়োজিত থাকেন এবং এলাকার উন্নয়নে সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছেন। উন্নয়নের অগ্রযাত্রা দরে রাখার জন্য এবং অসম্পূর্ণ কাজ সম্পূর্ণ করার জন্য পুনরায় রবিউল ইসলাম তজুকে আপনার এবং আপনার পরিবারের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করার আহ্বান জানানো হয়।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে রবিউল ইসলাম তজু বলেন, ‘আমি কোনো প্রচারণা চালাচ্ছি না। এলাকাবাসীর পক্ষে কেউ হয়তো ভালোবেসে এটি করেছে।’
অন্যদিকে রেজা উন নবী আলমামুনের প্রচারিত বিজ্ঞাপনে দেখা যায়, তিনি লিখেছেন, জনতার অঙ্গীকার পরিবর্তন হবে কাউন্সিলর। স্মার্ট বাংলাদেশের অঙ্গীকার কাউন্সিলর হবে জনতার। ১৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে সাবেক কাউন্সিলর রেজা উন নবী আলমামুন আপনাদের সকলের দোয়া ও সমর্থন প্রত্যাশী।’
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে আল মামুন বলেন, ‘আমি তো ভোট চাইনি। কাজেই এটি আইনত কোনো বাধা আছে বলে মনে হয় না।’
এদিকে জানতে চাইলে রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘প্রতীক বরাদ্দ হতে এখনো বেশ কিছদিন বাকি। এর আগেই যে কোনো মাধ্যমে প্রচারণা চালানো আইনত অপরাধ। আমরা অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত করে কে ব্যবস্থা নিব ওই দুই প্রার্থীর বিরুদ্ধে।’