আবু হাসাদ
রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার আম গাছে মুকুল আসতে এখনো কয়েক মাস দেরি। মাঘ শেষ হওয়া মাত্র ফাল্লুনের গরম বাতাসে প্রায় সকল আম গাছে মুকুল আসবে। কিন্তু এরই মাঝে শুরু হয়ে গেছে পুঠিয়ার আম চাষিদের আগাম আম বাগান পরিচর্যা।
মুকুল আসার আগ মুহূর্তে গাছের বাড়তি যত্নের প্রয়োজন হয়। তাই ছোট-বড় আম বাগান পরিচর্যায় চাষিরা বর্তমানে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তারা বাগানের আগাছা পরিষ্কার করে সেচ, সার দিচ্ছেন। পোকা দমনে স্প্রে করছেন কীটনাশক। এতে পোকা যেমন দূর হবে, তেমনি গাছে দেখা দেবে স্বাস্থ্যকর মুকুল। এতে করে ফলন ভাল আসবে।
পুঠিয়ায় যে সকল আম উৎপাদন হয় তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল,ফজলি, লখনা, গোপালভোগ, আশ্বিনা, হিমসাগর, দুধসর, কালীভোগ, তোতাপরী, আম রুপালিসহ শতাধিক বেশি জাতের আম চাষ করা হয়ে থাকে। দিন দিন চাষিরা আম চাষে আরো আগ্রহী হয়ে উঠছেন। তারা সব সময় কৃষি অধিদপ্তরের পরামর্শ অনুযায়ী বাগানের পরিচর্চা করে থাকেন।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানাগেছে, পুঠিয়া উপজেলায় নতুন ও পুরাতন মিলে প্রায় সাড়ে ১০শ’ হেক্টোর জমিতে আম বাগান রয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ২২ হেক্টোর বেশী জমি।
ভালুকগাছির আম চাষি রফিকুল ইসলাম জানান, গাছের সাথে থাকা পরকাসাগুলো কেটে এবং গাছের গোড়ায় সার-ভিটামিন জাতীয় ওষুধ দিয়ে বাগানের গাছগুলো পরিচর্যা শুরু করেছি। সামনের দিকে যাচ্ছে গাছগুলোতে আমের ভালো মুকুল পাওয়া যায় সে আশায়। আর আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ভাল ফলন হবে।
এ ব্যপারে উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে চাষিরা অনেক বেশি সচেতন। তারা সবসময় আমাদের মাঠ পর্যায়ের যারা কাজ করে তাদের থেকে পরামর্শ নেন এবং সে পরামর্শ মোতাবেক গাছের পরিচর্যা করেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে গতবছরের থেকে এবার ভালো আমের বাম্পার ফলন আশা করা যায়।