নিজস্ব প্রতিবেদক
দীর্ঘ ৯ বছর ধরে পুলিশে চাকরির পাশাপাশি রাজশাহীর বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) গভীর নলকূপ অপারেটর পদেও চাকুরি করে আসছিলেন মানিক আলী। রাজশাহীর পাকড়ী ইউনিয়নের নারায়ণপুর-২ এর গভীর নলকূপের অপারেটর পদে কাজ করতেন তিনি। এ নিয়ে রাজশাহী সংবাদে সংবাদ প্রকাশের পর অবশেষে অপারেটর পদ থেকে অব্যহতির জন্য নিজেই করেছেন আবেদন। সেখানে তিনি বর্তমান চাকুরির জন্য ঐ চাকুরি করতে পারছেন না বলে এই চাকুরি ছাড়াছেন বলে উল্লেখ করেছেন।
অব্যাহতির পত্রে দেখা গেছে, মানিক আলী নিজেই এই আবেদন করেছেন। তিনি বিএমডিএ গোদাগাড়ী জোন-২ এর সহকারী প্রকৌশলী হাসিবুল হাসানের কাছে আবেদন করেছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, “নারায়নপুর-২, জেএল নং-৮৪, দাগ নং-৭৫ এর অপারেটর ছিলাম। বর্তমানে আমার চাকুরির কারণে অপারেটরের দায়িত্ব পালন করা সম্ভব হচ্ছে না। বিধায় অপারেটর পদ থেকে অব্যাহতির আবেদন জানাচ্ছি।”
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, মানিক আলী একজন পুলিশ সদস্য। ২০১৩ সালের ১ জানুয়ারি কনস্টেবল হিসেবে পুলিশ বাহিনীতে যোগদেন তিনি। যার আইডি নম্বর ৮৬০। প্রশিক্ষণ শেষে প্রথমে ঢাকায় ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোন, এরপর রাজশাহী জেলা পুলিশে যোগ দেন। বর্তমানে নওগাঁ জেলায় গোয়েন্দা বিভাগে (ডিবি) কর্মরত মানিক আলী।
এরআগে ২০০৯ সালে বিএমডিএর গভীর নলকূপের অপারেটর হিসেবে যোগদান করেন মানিক আলী। এরপর পুলিশে চাকরি পেলেও অপারেটর পদটি তিনি বাদ দেননি। তিনি নিজে উপস্থিত না থেকে শরিফ আলী নামের একজনকে দিয়ে নলকূপ অপারেটরের কাজ করান। এখন এটি শরিফ আলীই দেখাশোনা করেন। ৯ বছর ধরে পুলিশ সদস্য, বিএমডিএর নলকূপ অপারেটরও তিনি।
এবিষয়ে পুলিশ সদস্য মানিক আলীর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি। তাই তার বক্তব্য পাওয়া যায় নি।
বিএমডিএ গোদাগাড়ী জোন-২ এর সহকারী প্রকৌশলী হাসিবুল হাসানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সিএনজিতে আছেন একটু পরে কথা বলবেন। কিন্তু এরপর একাধিকবার ফোনে যোগযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেন নি।
এ বিষয়ে বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক আব্দুর রশিদ জানান, একসাথে পুলিশ সদস্য ও
বিএমডিএর নলকূপ অপারেটর থাকার বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। তাকে সেখান থেকে বাদ দিয়ে দেয়ার জন্য আমরা বলেছি।
মানিক আলী নিজেই চাকুরি ছেড়ে দেয়ার বিষয়ে চানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে তিনি নিজেই আবেদন করলে ভালো। না করলেও তাকে বাদ দেয়া হবে।